জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই। ভিটামিন এবং খনিজ লবণ পূরণে আমাদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। তৃপ্তির বিচারে নয়, পুষ্টির মানদন্ডে খাবার খেতে হবে। আজ বরিশাল নগরীর ব্রি সম্মেলনকক্ষে ‘উপকূলীয় অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক দিনব্যাপি এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ( ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আরশেদ আলী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ব্রি) ড. মো. আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, এক সময় খাদ্যের জন্য লড়াই করেছি। এখন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। ধান গবেষণা শুধু জলবায়ু সহনশীল জাতই নয়, পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান উৎপাদনেও সফল হয়েছে। আমাদেরকে প্রযুক্তিগত স্মার্ট হতে হবে। সেসাথে বাড়াতে হবে সচেতনতা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানী। বারটানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই বরিশালের উপপরিচালক হরিদাস শিকারী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (বারি) ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ছাব্বির হোসেন, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, বাবুগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার জয়ন্ত কুমার অপু, ডা. মো. সোহেল রানা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে খাদ্য ও পুষ্টি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।